প্রাইভেট ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার পদটি কেমন?

বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি পদ কে যেমন ব্যাংকের জামাই বলা হয়। প্রাইভেট ব্যাংকের PO/MTO দের কে প্রাইভেট ব্যাংকের জামাই বলা হয়। সারাবছরই প্রাইভেট ব্যাংকগুলোতে প্রবেশনারী অফিসার বা PO পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থাকে। পাশাপাশি MTO পদেও সার্কুলার থাকে। আমাদের JobsQnA সাইটে প্রাইভেট ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার পদ নিয়ে অনেকেই কমেন্টে জানতে চেয়েছে। তাই আমাদের এই আর্টিকেল। 

প্রথমেই শুরু করবো স্যালারি দিয়ে। City Bank MTO পদে প্রবেশনারি পিরিয়ড শেষে স্যালারি অফার করা হয় ৯০ হাজার, IFIC ব্যাংকে ৭২ হাজার, SIBL প্রায় ৬০ হাজার। যাই হোক, ব্যাংকে টু ব্যাংকে ভেরি করলে ৬০ হাজার+ স্যালারি পাবেন। প্রবেশনারি শেষে আপনার পদায়ন হবে Executive/ Senior Officer পদে।

তারপর শুরু হবে আপনার ক্যারিয়ারের  পিছে দৌড়। ট্রেনিং আর বিভিন্ন ডেক্সে কাজ করতে করতে আপনি হয়ে উঠবেন লিডার। ব্যাংকের CEO দের প্রোফাইল ঘাটলে বুঝবেন যাদের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিলো PO/MTO হিসাবে।

প্রাইভেট ব্যাংকে PO পদে শর্ট লিস্টেড প্রক্রিয়া:
প্রাথমিক ভাবে সার্কুলার হয়। সিজিপি উল্লেখ করা থাকে থাকে, থাকে কোন কোন ডিপার্টমেন্ট থেকে আবেদন করা যাবে।  এ পদে কখনো অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়না। বরং ফ্রেসারদের বেশি প্রাইরিটি দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে শর্ট লিস্টেড হলে Online Test হতে পারে।যদি না হয় সরাসরি লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে।
প্রাইভেট ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার পদটি কেমন
প্রাইভেট ব্যাংকের প্রবেশনারি অফিসার পদটি কেমন
প্রাইভেট ব্যাংকে লিখিত পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন হয়?
উত্তরঃ প্রাইভেট ব্যাংক খুব সিলেক্টটিভ ওয়েতে কম সংখ্যক প্রার্থীদের পরীক্ষায় বসতে সুযোগ দেয়।DBBL, BCB ছাড়া।৪০ MCQ + ৬০ রিটেন নিয়ে সময় দেয় ৯০ মিনিট। শোনা কথা প্রিলিতে মিনিমাম মার্ক ক্যারি করলে তবেই লিখিত খাতা দেখা হয়। তবে বেশির ভাগ ব্যাংকের পরীক্ষার আযোজক থাকে IBA, FBS DU ও BIBM.
লিখিত পরীক্ষায় প্রস্তুতি ব্যাতিত ভালো করা সম্ভব নয়।

তারপর প্রাথমিক ভাবে একটা ভাইবা হয়। সেটা ব্যাংকেও হতে পারে আবার এক্সাম টেকারের অফিসে হতে পারে। প্রথম ভাইবাতে পাস করলে,  ২য় ভাইবা ফেস করতে হবে ব্যাংকের হেড অফিসে CEO,  DMD দের সাথে। কিছু ব্যাংক এ্যাসেসমেন্ট /গ্রুপ ডিসকাসের মতো ২য় অপসন রাখে যেমন NRBC, DBBL। 

ফাইনালি আপনাকে জব অফার করা হয়। হিডেন একটা ব্যাপার আপনি PO/ MTO পদে পরীক্ষা দিলেও ভাইবা ফেস করার পর মেরিটে একটু নিচের দিকে থাকলে আপনাকে First Executive,  Junior Officer পদেও অফার করতে পারে। সেখানে ৩/৫ বছরের বন্ড সই করে জয়েন করতে হয়।

প্রাইভেট ব্যাংকে প্রবেশনারী অফিসার পদে সুবিধা অসুবিধা কি?
উত্তরঃ অসুবিধার কথা যদি বলতে হয় সেটা প্রাই সব ব্যাংকের সব পদেই সেম। ব্যাংক মানে একটু টার্গেট থাকবে। ১০ টার আগে অফিস ডুকলেও শেষ কখন সেটা জানতে পারবেন না। মানসিক চাপ থাকবে। জব সিকিউরিটি নিয়ে টেনসনে থাকতে হবে। হয়তো মাঝে মাঝে শনিবার অফিস করা লাগবে। সেটা খুবই রেয়ার কিছু ব্যাংক এমনটি করে। তবে এখনকার যুগে ভালো মানের ব্যাংকগুলোতে টার্গেটের চাপ আগের তুলনায় বহুগুণ বেশি। ভালো ব্যাংক মানে কর্মীদের উপর রোলার কোস্টার চলে। 
টার্গেট ফিলাপ না হলে সেলারি ইনক্রিমেন্ট, প্রমোশন হয়না। 

সুবিধার কথা যদি বলি, প্রতিমাসের ২৫ তারিখের আগে যখন আপনার ফোনের ম্যাসেজ টুং করে জনিয়ে দেয় স্যালারির খবর টা আর সেটা যদি হয় ৭০ হাজার ছুই ছুই তাহলে আর কি?? সারাদিন ২/৩ জন পিওন আপনার চা, কফি, নাস্তা দিতেই থাকবে। এসি রুমি গরম মাথা ঠান্ডা রাখবেন। কর্পোরেট ভাব থাকবে আপনার মাঝে।  গোছানো একটা আউটলুক থাকবে আপনার মাঝে। আর যদি এই জব মন থেকে নিতে পারেন আর জব চেন্জ করার মানসিকতা থাকে তবে ভবিষ্যতে আপনি যেকোন ব্যাংকের DMD হবেনই।

প্রাইভেট ব্যাংকের প্রস্তুতি কিভাবে নিব?
উত্তরঃ নরমাল ব্যাংকের প্রস্তুতির মতো জাস্ট বাংলা টা টোটালি ডিলিট করে পড়তে পারলে হবে। লিখিত ইংরেজি লেখা আর দ্রুত ম্যাথ করতে পারলে প্রথম ধাপ সহজ। পরে ভাইবা পুরাটা ইংলিশে হবে।  সুন্দর করে গুছিয়ে উত্তর দিতে হবে।
সব মিলিয়ে শেষ ধাপ পযন্ত পৌছাতে বেশ কষ্ট করতে হবে।
এই বাইরেও কিছু জানার থাকলে জানাতে পারেন অভিদীপ্তকে। চেষ্টা করবো জানার যতটুকু আছে সব টুকু জানাতে।
শুভ কামনা সবার জন্য। পরিশ্রমী প্রতিটা বেকারের জব হোক।


প্রাইভেট ব্যাংক নিয়ে আর কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের এই JobsQnA সাইটের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন