Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদে বছরে প্রায় সবসময় সার্কুলার থাকে। এটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের চুক্তিভিত্তিক পদ। এই পদে আবেদন করলেই ডাক পাওয়ার যায়। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ARO পদ নিয়ে আমাদের JobsQnA সাইটে বিভিন্ন প্রশ্ন এসেছে। আজ সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে।
Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদে বেতন কত?
উত্তরঃ টার্গেট ফিলাপ না করলে ৪০০০ টাকা পাবে। আর টার্গেট ফিলাপ করতে পারলে কমিশন প্রচুর।
Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদটি কোন ধরনের কন্ট্রাকচুয়াল?
উত্তরঃ এটি থার্ড পার্টি কনট্রাকচুয়াল জব।
Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদে কাজের প্যারা কেমন?
উত্তরঃ যেহেতু সেলারি কম, সেহেতু প্যারাও কম। মাত্র ৪ হাজার বেতনে জব করবেন। টার্গেট ফিলাপ করার জন্য নিজ থেকেই কাজ করবে। যেহেতু টার্গেট ফিলাপ না হলে ব্যাংক বেতন দেয় ৪০০০ টাকা।
Dutch Bangla Bank ARO |
Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদের কাজ কি?
উত্তরঃ নতুন বিজনেস একাউন্ট খোলা। যেটাতে নূন্মতম ৫ হাজার ব্যালেন্স রাখতে হবে। ক্রেডিট কার্ড,পার্সনাল লোন,হোম লোন দেয়া।
Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদে পার্মানেন্ট হওয়ার সুযোগ কেমন?
উত্তরঃ ডাচবাংলা ব্যাংক সহজে পার্মানেন্ট করেনা। এই পদে খুব বেশি ভালো পারফরম্যান্স করতে পারলে পার্মানেন্ট করবে।
DBBL এ Assistant Relationship Officer পদে ক্যারিয়ার কেমন?
উত্তরঃ এই পদে ভালো করতে পারলে অন্য ব্যাংকে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে যেহেতু কনট্রাকচুয়াল পদ সেহেতু গুরুত্ব কম পাবেন। রেফারেন্স বা লিংকে যেতে পারলে হয়তো পারবেন।
Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদে সাপ্তাহিক ছুটি কয়দিন?
উত্তরঃ শুক্রবার শনিবার দুদিনই ছুটি পাবেন।
প্রকৃতপক্ষে Dutch Bangla Bank এ Assistant Relationship Officer পদে কেউ বেশিদিন জব করতে পারেনা। কারন সেলারি কম। কমিশনের উপর ভিত্তি করে বেশিদিন টিকে থাকা যায়না।
তাছাড়া কন্ট্রাকচুয়াল জব হোল্ডারদের সাথে ব্যাংক এর কিছু পারমানেন্ট কর্মীরা যে রকম ব্যবহার করে, এটা খুবই দুঃখজনক! অনেক ব্রাঞ্চ এ পিওন/সাব স্টাফরা পর্যন্ত অসম্মান করে ভাই বলে সম্বোধন করে, কোন কথা বললে গায়ে লাগায় না সহজে,সালাম দেয়ার তো প্রশ্নই আসেনা যখন ওরা জানতে পারে যে ভদ্রলোক টি কন্ট্রাকচুয়াল।
স্থায়ীকরণ এর নামে বছরের পর বছর চলে যায়, অনেক ছেলে মেয়ের ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যায়। তবুও কন্ট্রাকচুয়াল তকমা গায়ে লেগে ঘুরতে হয়। পরিবার বন্ধুদের সামনে হেয় হতে হয়।
কাজ করে অন্যান্য সবার মতই, কিন্তু বেতন-বোনাস?থাক আর না বলি। এরাও পরিশ্রম করে বাকিদের মতোই আর সুযোগ সুবিধা পায় সবচাইতে কম, মোট কথা ওরা হলো ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা।
ব্যাংকের অন্যান্য এমপ্লোয়িরা যখন প্রশ্ন করে যে আপনি পার্মানেন্ট নাকি কন্ট্রাকচুয়াল? পরে জানার এমনভাবে ট্রিট করে যেন কন্ট্রাকচুয়ালরা ব্যাংকের ইন্টারনাল কেউ নন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত একটা সু-নির্দিস্ট নীতিমালা করা, যেন ম্যানেজমেন্ট নির্দিষ্ট সময় এর পর সব কন্ট্রাকচুয়াল দের পার্মানেন্ট করে নেয় এবং সঠিকভাবে তদারকি করে। আশা করি ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তারা কন্ট্রাকচুয়াল দের বিষয়টি একটু পজিটিভ ভাবে দেখবেন।
বাংলাদেশে এখন DBBL,BRAC,IFIC,UCBL সহ বেশকিছু ব্যাংক কনট্রাকচুয়াল পদে প্রচুর লোক নিয়োগ দিচ্ছে। কিছু কিছু ব্যাংক তো ক্যাশেও কনট্রাকচুয়াল নিয়োগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই দিকে কিছুটা নজর দেয়া উচিত।