ব্যাংক একীভূত করা হলে কি হবে?

সামনে যত দিন আসবে ব্যাংকারদের চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এখন ব্যাংকিং খাতে আর সরকারি বেসরকারি পার্থক্য রাখতে চায় না সরকার।  সবার টার্গেট থাকবে কাস্টমার যত আনা যায়। যেহেতু বেসিক ব্যাংক সিটির সাথে একীভূত হচ্ছে তার মানে ভবিষ্যতে কোনো রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংক আবার কোনো বেসরকারি ব্যাংকের সাথে মার্জ করবে না তার নিশ্চয়তা নাই। কারণ দিন বদলাইছে। এখন সবাই অনলাইন এবং মোবাইল ব্যাংকিং এ অভ্যস্ত।  যাদের কাছে টাকা আছে তার ঐ গ্রামের বিকেবি বা রাকাব, বা জনতার মত কোন ভাঙাচোরা শাখায় গিয়ে সময় নষ্ট করতে চায় না। তাই যত দিন যাবে তত মানুষ সার্ভিস ভালো দেওয়া ব্যাংকের দিকে ঝুকবে। সেক্ষেত্রে তারা (সরকারি!) বেসরকারি দেখবে না। 

দুটি প্রশ্ন ও উত্তর -
PRIVATE BANK MERGE
ব্যাংক একীভূত করা হলে কি হবে
১. অনেকে মনে করে সরকারি ব্যাংকের কিছু হবে না??!!
তাদের উদ্দেশ্য বলতে চাই- ডিপোজিট যখন বেসরকারি ব্যাংকে চলে যাবে তখন বেসিক ব্যাংকের মত মার্জ হইতে সময় লাগবে না। সোনালী টিকে আছে শুধু চাকুরীজীবীদের বেতন ভাতা হয় বলে। সোনালী ছাড়া একটা সরকারি ব্যাংক দেখান যেটা কাস্টমার ডিলিং করে খুব ভালো অবস্থানে আছে?
 ভালো অবস্থানে থাকতে হলে কাস্টমার এর ডাইভার্সিটি বাড়াতে হবে। শুধু ঐ বেতন ভাতা দিয়ে কয় টাকা প্রফিট হয়? আসলে আমরা যেভাবে ব্যাংকিং সেক্টরকে নিয়ে ভাবছি বাস্তবে তা না।

২. সরকারি ব্যাংক বেসরকারির অধীনে চলে গেলো, আমাদের মতো ১০ম গ্রেডে জয়েন করা একজন অফিসার কি তখন বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে গণ্য হবে? আর স্যালারীর বিষয়টা কেমন স্ট্রাকচারে হবে তখন?

উত্তর:- অবশ্যই বেসরকারি হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ মাদার ব্যাংক হলো সিটি। যেটা বেসরকারি। স্যালারি আপাতত আগেরটাই পাবে। পারফরম্যান্স অনুযায়ী তারা সেই বেসরকারি ব্যাংকের স্যালারি স্ট্রাকচারে ঢুকবে। তবে এক্ষেত্রে ছাটাইয়ের সম্ভাবনা বেশি। কারণ বেসরকারি ব্যাংক তাদের পলিসি অনুযায়ী চলে। আপনাকে ছাটাই করলে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও কিছু করার থাকবে না। এজন্য বেসরকারি ব্যাংকের সাথে সরকারি মার্জ হলে সরকারি ব্যাংকার দের মাথায় হাত। কারণ এতদিন তারা সেই বেসরকারি স্টাইলে ব্যাংকিং করেনি। এখন অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। যেমন মার্কেটিং,  টার্গেট প্রেসার। কাস্টমার ডিলিং। যেসব ব্যাপার সরকারি ব্যাংকের ৯০% ব্যাংকার অভ্যস্ত হয়ে উঠেনা।

তাই সবাই রেডি হন। যারা মনে করতেন সরকারি সরকারি আরাম আরাম তাদের কপালে ভাজ। কঠিন বাস্তবতা সামনে অপেক্ষা করছে। ব্যাংকিং জব আর আগের সেই গরীমা থাকবেনা অদূর ভবিষ্যতে। 
বর্তমান বাজারে প্রাইভেট জবের যে টার্গেটের প্যারা,তাতেকরে ব্যাংকার আর একজন এসআরের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য থাকছেনা। পার্থক্য শুধুমাত্র এইটুকুই ব্যাংকার সপ্তাহে দুদিন ছুটি পায় আর একজন এসআর সপ্তাহে একদিন ছুটি পায়। এছাড়া কোন বড় পার্থক্য নেই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন