১৫দিনে ব্যাংকের প্রিলি প্রস্তুতি কিভাবে নিবো?

মাত্র ১৫ দিনে ব্যাংক প্রিলি প্রস্তুতি কিভাবে নিবো এই নিয়ে আমাদের সাইটে প্রচুর কমেন্ট ও মেইল আসে। মাত্র পনেরো দিনে ব্যাংক প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে সেই বিষয় নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকেল। 

ধরুন আপনার হাতে ১৫ দিন থেকে ১ মাস  সময় আছে। এই সময় টা তে আপনি চাইলেই দ্রুততম সময়ে ব্যাংক প্রিলি গোছাতে পারবেন৷ আপনার প্রস্তুতির প্রধান হাতিয়ার হবে বিগত সালের প্রশ্ন। বাজারের যে কোন প্রকাশনীর প্রশ্ন ব্যাংক কিনে আনুন। আমি প্রফেসরস কি টু ব্যাংক জব এই বই টা প্রেফার করি।  এত মোটা বই কিভাবে শেষ করবেন সেটা নিয়েই কথা বলব। আপনি শুরু তেই সিলেবাস টা দেখে নিবেন। বাংলা, ইংরেজি, গণিত,সাধারণজ্ঞান ও কম্পিউটার থেকে প্রশ্ন হয়। 
১৫দিনে ব্যাংকের প্রিলি প্রস্তুতি কিভাবে নিবো
আপনি  বই টা সলভ করবেন সাবজেক্ট বেজ করে। ধরেন,  আপনি বাংলা পড়বেন।  আপনার কাজ হবে  অন্তত ১০ বছরের বাংলা প্রশ্ন গুলি সলভ করে ফেলা।  এই কাজ করতে ২- ৩ ঘন্টার বেশি লাগার কথা না৷  তারপর যে যে টপিক থেকে নিয়মিত প্রশ্ন পাবেন সেগুলো বিসিএস এর গাইড বা বই থেকে চোখ বুলিয়ে নেবেন৷ সাহিত্য অংশ থেকে খুব কম প্রশ্ন আসবে।  

ইংরেজীঃ এটাও আগে বিগত প্রশ্ন বুঝে বুঝে সলভ করবেন ১০ বছরের।  তারপর সেখান  থেকে ভোকাব আর স্পেলিং গুলো খাতায় লিখে  Antonyms ,  Synonyms  সহ শিখে ফেলবেন। বেসিক গ্রামার এর রুল গুলো একবার দেখে নেবেন। কারো আরো বেশি সময় হাতে থাকলে GRE high frequency 333 words পড়ে ফেলবেন।

সাধারণজ্ঞানঃ এটাও বিগত প্রশ্ন পড়ে ফেলবেন শুরু তে। তারপর ৪৭-৭১,সংবিধান,  সংস্থা, বিভিন্ন দিবস,  পরিবেশ ইস্যু, আন্তর্জাতিক  সংস্থা, আইনসভা,  সমুদ্রবন্দর, সীমারেখা   ইত্যাদি চোখ বুলাবেন।  গত ৬ মাসের স্পোর্টস বিশেষ করে টেনিস,  গল্ফ,  ফুটবল, ক্রিকেট এর খোজ খবর রাখবেন। বিগত ৬ মাসের রিসেন্ট টপিক দেখে যাবেন, বিশেষ করে পরীক্ষার ১৫-২০ দিন আগে ঘটা ঘটনা গুলো অবশ্যই দেখে যাবেন। 

গনিতঃ এটাই আসল খেলা।  চ্যাপ্টার ওয়াইজ বিগত প্রশ্ন সলভ করে ফেলবেন ভাল ভাবে৷ অন্তত ৫০% মিল পাবেন বা অই নিয়মের ম্যাথ পাবেন।  বাদ বাকি পারার জন্য সাধনা লাগবে।   গুরুত্বপূর্ণ  কিছু চ্যাপ্টার এর  এডভান্স নিয়মের কিছু ম্যাথ  করে যাবেন। যেহেতু পরীক্ষার ১ মাস আগে পড়বেন,   আগারওয়াল পুরোদমে  করা সম্ভব হবে না হয়ত। সেক্ষেত্রে  গনিতে অন্তত ৬০% নাম্বার তোলার মাইন্ড সেট নিয়ে হলে যাবেন৷  কিছুটা ছাড় দেবেন। সেটা বাকি অংশ থেকে ব্যাক আপ নেবেন। 

কম্পিউটারঃ বিগত পড়লেই ১০ এ ৪/৫ পাবেন।এর বেশি প্রত্যাশা থাকলে   এক্সামভেদা / ইন্ডিয়াবিক্স সহ নানা ওয়েব সাইট ঘাটতে হবে৷ 

মোট কথা  পুরা প্রশ্ন ব্যাংক কে সাবজেক্ট অনুসারে  ভেংগে ভেংগে দ্রুত সময়ে সলভ করতে হবে৷ কখনোই সব সাবজেক্ট মিলিয়ে ৮০  টা প্রশ্ন এক বসায় সলভ করবেন না।  যখন যে সাবজেক্ট ধরবেন শুধু সেটার ই ৮-১০ বছরের  বিগতপড়বেন। ট্রাস্ট মি ১৫ দিনে অই মোটা প্রশ্ন ব্যাংক শেষ হয়ে যাবে। 

আমার পরামর্শ থাকবে ফ্যাকাল্টি বেজ প্রস্তুতি নেবেন এক্সাম এর ৩ দিন আগে৷  অই তিন দিন অই ফ্যাকাল্টির সব প্রশ্ন রিভিশন দেবেন৷শুরু তেই ফ্যাকাল্টি বেজ পড়লে ধরা খাবার চান্স থাকবে৷ 

ব্যাংক প্রিলি এক্সাম হল এর পরীক্ষা নিয়ে কিছু কথা যদি বলতে হয়,তবে বলা যায় মাথা গরম করা যাবে না।  কঠিন সবার জন্যই কঠিন।  প্রশ্ন কঠিন হলে ৫০% সঠিক উত্তর দিলেই আপনি প্রিলি টিকবেন৷  সব পারতে হবে এমন চিন্তায় যাবেন না।  ব্যাংকের যে কোন ফ্যাকাল্টির কঠিন প্রশ্নেই ৫০-৫৫%  নাম্বার প্রিলি টেকার জন্য ইনাফ।  তাই মাথা গরম করে ৫ টা কঠিন ম্যাথ সলভ করতে  গিয়ে সহজ ১০ নাম্বার ছাড়া যাবে না৷  এক প্রশ্ন ২ বারের বেশি পড়বেন না। স্কিপ করবেন। 

ব্যাংক প্রিলি এক্সাম হলে যা করা উচিৎঃ প্রথমে প্রশ্ন পেয়ে ৫ মিনিট প্রশ্ন দেখবেন। প্রশ্নের লেভেল  টা বুঝবেন।  কোন গুলো পারবেন সেগুলো নজর দিবেন। তারপর দাগাবেন। এভাবে আগালে কঠিন জিনিস আগেই ফিল্টারিং হবে। মাথা গরম হবে না। তারপর উত্তর করা শুরু করবেন।
প্রিলিতে খাতার উপস্থাপন বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। অনেকের বেশি কমন পেয়ে,ভালো এক্সাম দিয়েও সুযোগ পায়না। অনেকের ম্যাথ কমন কম পড়ে কিন্তু খাতার উপস্থাপন সুন্দর হওয়ার কারনে সুযোগ পেয়ে যায়।
সুতরাং খাতাত উপস্থাপনা সুন্দর করার চেষ্টা করবেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন