অফিসে যে বিষয় মেনে চলা উচিত

আমি যখন চাকরি করতাম, সেই সময় আমার যিনি ইমিডিয়েট বস ছিলেন তিনি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছিলেন। যেগুলার সারমর্ম হল এরকমঃ-

১) অফিসে নানা গ্রুপ থাকবে, অনেকে অনেকের নামে কথা লাগাবে, আপনি চুপ থেকে শুনবেন। নিজের কোন ওপিনিওন দেবেন না। তারপরো শুনবেন। আপনার বিভিন্ন পারস্পেকটিভ দরকার। যা রটে তার কিছু তো ঘটে! ভাল শ্রোতা হবার অনুশীলন করুন। বোবার শত্রু নাই। 
অফিসে যে বিষয় মেনে চলা উচিত
অফিসে যে বিষয় মেনে চলা উচিত
২) কলিগ, কলিগ ই বন্ধু না। বেশি খাতির এর দরকার নাই। বেশি মাখামাখি হলে সম্ভাবনা আছে এই কলিগ ই আপনার সর্বনাশ করবে। 

৩) অফিসের মধ্যে এফেয়ার এ জড়াবে না। যে কয়দিন টিকবে ভালো যাবে। বাট শুধু ভাবেন আপনার সদ্য ব্রেক আপ এর পর আপনার জিএফ আপনার সামনেই কাজ করতেছে। তখন তাকে ভোলা আপনার জন্য কষ্টকর হবে। আপনার রেপুটেশন আর পারফরমেন্স এ ও নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়বে। 

৪) ডিসিশন যদি আপনার একান্ত ই না নিতে হয় নেবেন না। অধীনস্তদের তোষামোদে সুপিরিওরদের সাথে বিবাদ করবেন না। আগে মাথা কাটা আপনার ই যাবে। অধীনস্তরা দুদিন পর সব ভুলে যাবে

৫) যতটুকু কাজ করতে বলা হয় ততটুকুই করেন। আপনি ৪ ঘন্টার কাজ ১ ঘন্টায় করলে তারা আপনাকে আগেভাগে ছাড়বে না। আরো কাজ দেবে বা ৩ ঘন্টা হুদাই ব্যয় করবে। এই কারণে কাজ করা শুরু করবেন শেষে। চিল থাকেন। 

৬) সবখানে আগ বাড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ বা এক্সপ্লেইন করতে যাবেন না। এটা দুর্বলতার লক্ষণ।

৭) অনেক সময় অনেক কিছুর পারমিশন পাবেন না। তারপরো করা লাগলে করে ফেলে ক্ষমা চান। মনে রাখবেন-পারমিশন পাওয়ার চাইতে মাফ পাওয়া সোজা। 

৮) এইটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ, অফিসে যত ই সবকিছু ভাল চলুক, বেটার অপশন এর চেষ্টায় থাকেন। দিনশেষে স্যালারীটাই হতে হবে আপনার ১ নম্বর মোটিভেশন।

আশাকরি আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন