রাকাব বিকেবি মার্জ হলে কি হবে?

প্রসঙ্গ রাকাব বিকেবি মার্জ রাকাব এবং বিকেবি মার্জ করা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করার চেষ্টা করি।

রাকাব বিকেবির সাথে মার্জ হলে এই অঞ্চলের কৃষকদের উপর তার প্রভাব কেমন হতে পারে?
উত্তর: রাকাবের এডিআর ১১০%।  অর্থাৎ রাকাবের যে পরিমাণ আমানত আছে(৬৭০০ কোটি)  তার থেকে ঋন বিতরণ (৭৪০০ কোটি)  বেশি।অপরদিকে বিকেবির আমানত(৪১০০০ কোটি)  বিতরণ কৃত ঋন (৩২০০০ কোটি) অপেক্ষা বেশি। ফলে রাকাব এডিআর এর কারনে যেখানে উত্তরবঙ্গে নতুনকরে ঋণ বিতরণে সমস্যায় পড়ছে সেখানে বিকেবির সারপ্লাস ডিপোজিট ব্যবহার করে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের চাহিদা পূরন করতে পারে। ফলে একদিকে ব্যাংকের যেমন ইনভেস্ট বাড়লো তেমনি কৃষকরাও উপকৃত হলো।
রাকাব বিকেবি মার্জ হলে কি হবে
রাকাব বিকেবি মার্জ হলে কি হবে
ঢাকা কেন্দ্রীক হেড অফিস এর সুবিধা অসুবিধা 
উত্তর :রাকাব মার্জ হলে হেড অফিস হবে ঢাকা। ফলে রাকাবের হেড অফিসের যে পরিচলন ব্যয় সেটি সাশ্রয় হবে। সেটা ২০/৩০/৪০ কোটি যাই হোক না কেন। কারন ব্যাংক খাতে এখন ১ টাকা সাশ্রয় করা গেলে সেটাও একটি বড় সাফল্য মনে করি। এছাড়াও হেড অফিসের এই লোকবল যখন শাখা পর্যায়ে কাজ করবে তখন গ্রাহক সেবা এবং শাখার পারফর্মেন্স ও ভালো হবে। কৃষকদের সুবিধার্তে রাজশাহীতে  অবস্থিত হেড অফিস স্থানান্তরিত হওয়ার পর সেখানে একটি হেল্প সেন্টার খোলা যেতে পারে যারা কৃষকদের হেড অফিসের প্রতিনিধি হিসেবে সরাসরি সহযোগিতা করবে।

রাকাব বিকেবির ইনোভেশন অগ্রযাত্রা কি থেমে যাবে?
উত্তর: না। বরং রাকাবের আইসিটির যে ইনোভেশন (এপস,লেন্স) ইত্যাদি অভিজ্ঞতা বিকেবিতে কাজে লাগানো যাবে আবার বিকেবির রেমিট্যান্স সংগ্রহ থেকে অন্যান্য ভালো অভিজ্ঞতা রাকাবের সাথে শেয়ার করা যাবে। ফলে উভয় ব্যাংকই উপকৃত হবে তথাপি দেশ উপকৃত হবে। রাকাবের লস শাখার অনেকগুলো এখন লাভের শাখায় পরিনত হয়েছে।বিকেবির ক্ষেত্রেও তাই। রাকাবের শাখা গুলো এখন যেমন প্রফিট করছে মার্জ হওয়ার পর তো কেউ প্রফিট করতে নিষেধ করবে না নিশ্চয়। বরং এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিকেবির লস শাখা গুলোও লাভে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।

কর্মীদের সুযোগ -সুবিধা বাড়বে না কমবে?
উত্তর : বিকেবি অঞ্চলে রাকাব নাই আবার রাকাব অঞ্চলে বিকেবি নাই।ফলে কোন শাখা বন্ধ করতে হবে না। বরং সারা দেশ ব্যাপী নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হবে।শাখার সংখ্যার দিক থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হবে বিকেবি-রাকাব। ফলে ডিপোজিট বাড়া সহ ব্যবসায়িক কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাবে।এখন উত্তরবঙ্গের কৃষকরা চাইলেও দেশের অন্য প্রান্তে গিয়ে জরুরি প্রয়োজনে রাকাবের চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করতে পারে না। ফলে মার্জ হলে কৃষক এর সেবার মান সহজ ও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও এখন উত্তরবঙ্গের অনেকে বাড়ি থেকে অনেক দূরে বিকেবিতে চাকরি করছে আবার দক্ষিনের অনেকে রাকাবে চাকরি করছে।তখন সবাই নিজের সুবিধামত পোস্টিং নিতে পারবে।ফলে কাজের প্রতি তাদের মোটিভেশান বাড়বে। নিজ দেশে পরবাসী হয়ে থাকার কষ্ট একমাত্র এই মানুষ গুলোই উপলব্ধি করে।
 
সুতরাং ১৯৭৩ সালে যে প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু নিজ হাতে গড়েছিলেন আগামীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই সেই প্রতিষ্ঠান তার পূর্বের জায়গাই ফিরে যাবে এবং কৃষি ও কৃষকের পাশে থাকবে এই প্রত্যাশা করি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন